শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহী মহানগরীতে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার

রাজশাহী মহানগরীতে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার

রাজশাহী মহানগরীতে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার
রাজশাহী মহানগরীতে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ঘরে চুরির অভিযোগে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটায় রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হোজা অনন্তপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে মতিহার থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো: রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার দৌলতপুর এলাকার মৃত শুকুর আলীর মেয়ে মোসা: আলোকা বেগম (৪৩) ও তাঁর মেয়ে রাজশাহীর দূর্গাপুর থানার বর্ধনপুর এলাকার মোঃ মিজানুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ মিম খাতুন (২২) এবং মিমের স্বামী মোঃ মিজানুর রহমান (২৫)।

শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর), মোঃ জামিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, মহানগরীর মতিহার থানার চৌদ্দপাই এলাকার মোসাঃ সাথী খাতুন (২৯) নামের এক গৃহীনি এবং তাঁর স্বামী মোঃ মাসুদ রানা নান্টু (৩৪) বিদেশে থাকেন। গত মাসের ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় আসামি আলোকা ও মিম বাড়ী ভাড়া নেওয়ার জন্য সাথী খাতুনের বাড়িতে যায়। এ সময় অপর আসামি মিজানুর বাড়ির বাহিরে অপেক্ষা করছিলো।

আলোকা জানায়, মিম তাঁর মেয়ে। আর বাহিরে অবস্থান করা মিজানুর তাঁর মেয়ের জামাই। মিজানুর পুলিশে চাকরি করে বলে মিথ্যা পরিচয় দেয়। বাড়িটি তাদের পছন্দ হয়েছে বলে সাথীকে জানায় এবং ঘরটি দ্রুত পরিস্কার করতে বলে। ঘর পরিস্কার করা হলে আসামিরা সাথীকে গোসল করতে যেতে বলে। সাথী গোসল করতে গেলে সেই সুযোগে আসামিরা তাঁর ঘর ঢুকে শোকেসের ভিতরে থাকা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সাথী খাতুনের দেয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় একটি চুরির মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজুর পরবর্তীতে আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ একরামুল হক, পিপিএম-এর নেতৃত্বে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রহুল আমিন, এসআই মোঃ পলাশ আলী ও তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স চুরি হওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার-সহ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হোজা অনন্তপুর এলাকা থেকে আসামি মিম ও তাঁর স্বামী মিজানুরকে গ্রেফতার করে। মিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি তাঁর মা আলোকাকে চারঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় বালুদিয়া এলাকায় তাঁর বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায়, তাঁরা পেশাদার চোর ও চোর দলের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা রাজশাহী মহানগরী-সহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রতারনা করে চুরি করে থাকে।

আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পূর্বেরও চুরির মামলা রয়েছে।

শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান নগর পুলিশের এই মুখপাত্র।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply